ঢাকা,শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

চকরিয়ায় অবিলম্বে সড়ক মেরামতের দাবিতে বিক্ষুদ্ধ জনগণের মানববন্ধন

চকরিয়ায় সড়ক মেরামত কাজ শুরুর দাবিতে কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিক্ষুদ্ধ জনসাধারণের মানববন্ধন

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

গতবছর বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার তান্ডবে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের শান্তিবাজার থেকে লক্ষ্যারচর হয়ে কাকারা মানিকপুর ইয়াংছা সড়কটি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে সড়কটির বিভিন্ন অংশে অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি বড় ধরণের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবে সড়কটি মেরামতে সড়ক বিভাগ ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসলেও ঠিকাদারদের সঙ্গে দলাদলির কারণে মাঝপথে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থার কারনে সড়কটি দিয়ে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধের উপক্রম হয়েছে। পাশাপাশি চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় সর্বস্তরের জনসাধারণ।

এদিকে চলাচলে দুর্ভোগে অতিষ্ঠ হয়ে অবিলম্বে সড়কটি মেরামত কাজ শুরুর দাবিতে বিক্ষুদ্ধ জনসাধারণ রোববার বিকালে কাকারা ইউনিয়ন পরিষদ লাগোয়া ভগ্ন সড়কের সামনে মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে উপস্থিত জনসাধারণ ঘোষনা করেছেন দ্রুত সময়ে সড়ক বিভাগ সড়কের মেরামত কাজ শুরু না করলে তাঁরা পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের কর্মসুচি দেবেন। অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জনগনের সঙ্গে একাত্ম পোষন করেছেন কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ শওকত ওসমান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজেম উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জমান অহিদ প্রমুখ।

কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত ওসমান বলেন, ইতোমধ্যে শান্তিবাজার থেকে লক্ষ্যারচর হয়ে কাকারা মানিকপুর ইয়াংছা সড়কটি মেরামতের জন্য কক্সবাজার সড়ক বিভাগ ৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দে কয়েকবার টেন্ডারও দিয়েছেন। কিন্তু সড়ক বিভাগের সঙ্গে ঠিকাদারদের দলাদলির কারণে সঠিক সময়ে মেরামত কাজটি শুরু করা হচ্ছেনা।

তিনি বলেন, বর্তমানে সড়কটির বেহালদশার কারনে যানবাহন চলাচল বন্ধের উপক্রম হচ্ছে। এতে সর্বসাধারণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এ অবস্থায় বিক্ষুদ্ধ জনসাধারণ উল্টো আমাদেরকে গালি দিচ্ছে। আমরা এই হয়রাণি থেকে পরিত্রান চাই। আশাকরি সড়ক বিভাগ অতিদ্রুত সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেবেন।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের চকরিয়া উপ-বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আবু আহসান মো. আজিজুল মোস্তফা বলেন, সড়কটি মেরামতে ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এটি অনুমোদনের জন্য কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর সড়ক বিভাগের উর্ধ্বতন বিভাগে প্রেরণ করেছেন। টেন্ডার অনুমোদন হয়ে গেলে আমরা ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেব। তারপর মেরামত কাজ শুরু হবে। সেই পর্যন্ত জনগনকে অপেক্ষা করতে হবে। ##

পাঠকের মতামত: